Sunday, February 19, 2017

কিডনিতে পাথর

1) কিডনিতে পাথর ...
A) 

কিডনিতে পাথর কি .... 


কিডনির পাথর সাধারণত আকারে ছোট হয়ে থাকে। কিডনির ভিতরে কঠিন পদার্থ (Hard deposits) জমা হয়ে কিডনিতে পাথর হয়। সাধারণত খনিজ এবং অম্ল লবণ (Acid salts) দিয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়। কিডনিতে বিভিন্ন কারণে পাথর হয়ে থাকে। তবে প্রস্রাব গাঢ় (Concentrated) হলে তা খনিজগুলোকে দানা বাঁধতে সহায়তা করে এবং তা পাথরে রূপ নেয়।
B) মূত্রনালীতে পাথর না যাওয়া পর্যন্ত কিডনিতে পাথর হওয়ার কোন লক্ষণ ও উপসর্গ সাধারণত বুঝা যায় না।
C) কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয়:

পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া
প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া                                    
প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া
বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
যদি কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনী হওয়া
বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া     
D)  কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ কি ? 

উত্তর. প্রস্রাবে বিভিন্ন উপাদান যেমন-তরল, খনিজ এবং অম্লের ভারসাম্যহীনতার কারণে কিডনিতে পাথর হয়।
E)  কিডনিতে কয় ধরণের পাথর হয়ে থাকে?

উত্তর.কিডনির পাথর কয়েক ধরণের হয়। যেমন :

ক্যালসিয়াম পাথর (Calcium stones) : বেশিরভাগ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম পাথর। সাধারণত খাদ্য ব্যবস্থা (কিছু কিছু শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম এবং চকলেট উচ্চ মাত্রায় অক্সলেট আছে), উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ডি, অন্ত্রের বাইপাস সার্জারি এবং বিভিন্ন ধরণের গ্রহণ বিপাকীয় সমস্যার কারণে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ঘণীভূত হয়। ক্যালসিয়াম পাথর অনেক সময় ক্যালসিয়াম ফসফেট আকারেও হয়।
স্ট্রুভাইট পাথর (Struvite Stone) : সাধারণত মূত্রাধারে (Urineary tarct) সংক্রমণের কারণে Struvite stone হয়। এগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশ বড় হয়।০
ইউরিক এসিড পাথর (Urine Acid Stones) : যাদের পানিশূন্যতা আছে, উচ্চ আমিষযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে এবং গেঁটে বাত (Gout) আছে তাদের এই পাথর হয়। এছাড়া জীনগত কিছু কারণে এবং রক্তের কলায় সমস্যা থাকলেও এই পাথর হয়।
সিস্টিন পাথর (Cystine Stone) : সাধারণত বংশগত কোন সমস্যার কারণে এই পাথর হয়। এর ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ এমিনো এডিস বের হয়ে যায়।
এছাড়া কিডনিতে অন্যান্য ধরণের পাথরও হয়ে থাকে।
F) 

No comments:

Post a Comment