Source Link: ওসিডি সমাধান
True/False ... ???
________________
১) ল্যাকেসিস ঔষধটি সুস্থ একজন লোককে কিছুদিন খাওয়ানো হলে লোকটির মধ্যে বাচালতা, হিংসা,ধর্ম নিয়ে বাতিক,অমূলক সন্দেহ,নিজেকে নিজে দোষারোপ করা,স্বার্থপরতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা
দেয়।
একজন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে এই লক্ষণগুলো
দেখা দিলে ল্যাকেসিস খাওয়ালে তা দূর হয়ে যায়।
২) নাক্স ঔষধটি সুস্থ মানুষকে কিছুদিন খাওয়ালে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে,মেজাজ খিটখিটে হয় এবং মদপানের আগ্রহ তৈরি হয়।
একজন অসুস্থ মানুষের যদি ঘুমে ব্যাঘাত,মেজাজ খিটখিটে থাকে এবং মদ পানের অভ্যাস থাকে তবে নাক্স খাওয়ালে তা সেরে যায়।
৩) বিউফো রানা ঔষধটি যদি কোন সুস্থ মানুষকে কিছুদিন খাওয়ানো হয় তবে ঐ মানুষটির মধ্যে হস্তমৈথুনের তীব্র ইচ্ছা জাগ্রত হয় এবং হস্তমৈথুন করার জন্য সে নির্জন জায়গা খুঁজতে থাকে।
কারো মধ্যে যদি নিরালায় হস্তমৈথুনের প্রবণতা থাকে তবে বিউফো ঔষধটি খেলে এই বদ অভ্যাসটি দূর হয়ে যায়।
৪) সিফিলিনাম ঔষধটি সুস্থ মানুষকে কিছুদিন খাওয়ালে মানুষের মধ্যে ইনফেকশন হয়ে যাবে এমন ভয় তৈরি হয় এবং তাদেরকে বারবার হাত ধুতে দেখা যায়।
এখন কোন রোগীর মধ্যে যদি ইনফেকশনের ভয় থাকে এবং বারবার হাত ধোয়ার বাতিক দেখা যায় তবে সিফিলিনাম খেলে সে ভয় কেটে যায় এবং বারবার হাত ধুয়ার প্রবণতাও দূর হয়।
৫) সালফার ঔষধটি একজন সুস্থ মানুষকে
কিছুদিন খাওয়ালে ঐ মানুষটি অত্যন্ত বাচাল হয়ে যায়, নিজেকে মহাজ্ঞানী মনে করতে থাকে,নোংরা এবং ছেড়াফাটা পোষাকও তার কাছে সুন্দর মনে হতে থাকে,গোসল করতে অনীহা তৈরি হয়।
এখন কোন রোগীর মধ্যে যদি এই স্বভাবগুলো দেখা যায় তবে সালফার ঔষধটি খাওয়ালেই সেই স্বভাবগুলো রোগীর মধ্য থেকে দূর হয়ে যায়।
৬)থুজা ঔষধটি সুস্থ মানুষ কিছুদিন খেলে
বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়,চুরি করার প্রবণতা দেখা দেয়,মানুষ গোপনপ্রিয় হয়ে যায়,বারবার হাত ধুয়ার অভ্যাস দেখা দেয়।
কোন রোগীর মধ্যে যদি এই রকম লক্ষণ দেখা দেয় তবে থুজা খেলে তা কেটে যায়।
৭) আর্সেনিক ঔষধটি কোন সুস্থ মানুষ একটানা কিছুদিন খেলে মানুষটি অতিরিক্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়,সব সময় ঘর গোছাতে থাকে, ফ্লোর মুছতে থাকে, অতিরিক্ত ফিটফাট এবং ফ্যাশন সচেতন হয়ে পড়ে।অগোছালো এবং অপরিষ্কার কোন কিছুই সে দেখতে পারে না।কোন জিনিস নির্ধারিত স্থানে না রাখা পর্যন্ত তার ঘুম হয়নাএবং মৃৃত্যু ভয় তৈরি হয়।
এখন কোন রোগী যদি অতিরিক্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে চায় এবং তার মধ্যে মৃত্যুভয় থাকে তবে আর্সেনিক ঔষধটি খেলে তার অতিরিক্ত পরিষ্কার থাকার বাতিক এবং মৃত্যুভয় দূর হবে।
লক্ষ্য করুন, যে ঔষধ সুস্থ মানুষ খেলে কিছু রোগ বা রোগলক্ষণ তৈরি হয় সেই ঔষধ সেইম লক্ষণ রয়েছে এমন রোগীকে খাওয়ালে তা সেরে যায়।
এটি মূলত হোমিওপ্যাথিক সিস্টেম।
আগে সুস্থ মানুষকে কিছুদিন ঔষধ খাইয়ে উৎপন্ন লক্ষণগুলোকে লিপিবদ্ধ করা হয়,এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটিকে বলা হয় প্রুভিং।প্রুভিংয়ে প্রাপ্ত যে ঔষধের লক্ষণগুলোর সাথে রোগীর লক্ষণ মিলবে সে রোগীকে ঐ ঔষধ দিলে রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment