#garlic #healthcare
রসুনের বিস্ময়কর তথ্য আপনি জানেন কি ? LINK
আপনি জানেন কি? নিয়মিত রসুন সেবনে আপনার আয়ু বেরে যেতে পারে- বলেছেন আধুনিক ঔষধ বিজ্ঞানএর জনক “হিপোক্রাটস” । প্রাচীনকাল থেকেই মিসরীয় সভ্যতায় রসুনকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাকারি খাদ্য হিসাবে ব্যবহার দেখা যায়। রসুনের আশ্চয্যজনক ক্ষমতার জন্য তারা রসুনকে তৎকালীন সর্বপ্রকার অসুখ নিরাময় ও রোধ কল্পে সর্বোচ্চ মান প্রদান করতেন। ব্যাবিলইয়ন সভ্যতায় শরীরের নানান সমস্যা যেমন
কৃমি
উকুন
ত্বকের সমস্যা
শরীরের নানা প্রকার ঘা
পেটের অসুখ
শ্বাসকষ্ট আলসার ইত্যাদি নিরাময় রসুনের ব্যবহার ছিল ব্যাপক।
প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রস্থল ও শিক্ষার পাদপীঠ গ্রীক দেশে প্রায় প্রত্যেক অসুখেই রসুনের ব্যবহার ছিল প্রচুর পরিমাণে। তৎকালীন বুদ্ধিজীবিই রসুন ব্যবহারকে অপরিহার্য্য মনে করতেন। এমনকি দার্শনিক রাস্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল রসুনের প্রশংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ।
হাজার বছর ধরে রসুন ব্যবহার চীন সভ্যতার একটা নিয়মিত ব্যাপার। ফোনিসিয়ান সৈন্য এবং নাবিকদের খাদ্য তালিকায় যে খাদ্য ছিল তার মধ্য প্রথম তালিকায় ছিল রসুন এমনি কি রসুন ছাড়া সমুদ্র যাত্রা শুরু করতেন না।
একজন রোমান প্রকৃতিবিদ রসুনকে ৬১ ধরনের অসুখের মহৌষধ মনে করতেন।
পিরামিড তৈরির সময় সেখানকার শ্রমিকরা প্রচুর পরিমাণে রসুন ব্যবহার করার ইতিহাসও আছে।
সব চেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে মিসরীয়রা গর্ভধারণ নির্ণয়েও রসুন ব্যবহার করত।
১৮৮৫ সালে বিখ্যাত বিজ্ঞানী লুইস পাস্তর রসুনের এন্টিসেপটিক গুনের আবিষ্কার করেন। ২য় মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সামরিক চিকিৎসকেরা যুদ্ধাহত সৈনিকদের ইনফেকশন বোধ ও দ্রুত ক্ষত নিরাময়ের জন্য রসুনকে ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। রুশ চিকিৎসা শাস্তেরও রোগ নিরাময়ে রসুন অধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সে জন্য রসুন কে “রাশিয়ান পেনিসিলিনও” বলা হয়।
চীনা ভেজষ চিকিৎসকেরা উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রসুন ব্যবহার করতেন। এ ছাড়াও বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেস যেমন জাপান, জার্মান, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের নানা গবেষনাগার সমূহে প্রমাণিত হয়েছে যে রসুনে এমন উপাদান আছে যা রক্তের ঘণত্ব হ্রাসে অ্যাসপিরিনের চেয়েও দ্বিগুণ কার্যকর এবং যা উচ্চ রক্ত চাপ, ষ্টোক ও হার্ট অ্যাটাক এর সম্বাবনা বহুলঅংশে হ্রাস করে।
অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্টের একটি গবেষণা কেন্দ্রে ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধ ও শরীরের বিষাক্ত পদাথ দূরীভূত করতে রসূনের কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মানব দেহে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রসূনের কার্যকারিতা অবিস্মরণীয়। আর সে জন্য ইউরোপের বহু দেশের অধিকাংশ লোকেরাই গার্লিক অয়েল ক্যাপসুল ব্যবহার করেন সুসাস্থ্য রক্ষার জন্য।
রসুনের কার্যকারী উপাদানঃ
রসুনের যে সকল উপাদান মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী তার প্রায় সব কটিই রয়েছে রসুনের তেলে। আর এই রসুনের তেল বা নিরযস নিযাস আধুনিক প্রক্রিয়ায় বের করা হয়। ১ কেজি রসুনের তেল পেতে প্রায় ৩ টন রসুন প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। এই তেলে ৭৫ রকমের সালফার যুক্ত উপাদান এবং ১৭ রকমের এ্যামাইনো এসিড থাকে আর আট ভাগ থাকে মিনারেল স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকারী।রসুনের আধুনিক ব্যবহারঃ
রসুন এমন একটি বিস্ময়কর খাদ্য যা নিয়মিত সেবনে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার দূর করতে অত্যন্ত ফলদায়ক ভূমিকা রাখে।বিজ্ঞানীরের ক্রম বিকাশের ফলে আধুনিক বিশ্বে বর্তমানে রসুন “ গার্লিক অয়েল ক্যাপসুল” আকারে অতীব সমাদৃতঃ
> ষ্টোক ও হার্ট এ্যাটাক এর সম্ভাবনা বহুলাংশে হ্রাস করে।
> উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
> দেহের রক্তের জমাট বাধার সম্ভবনা দূর করে।
> বাতের ব্যথা নিরাময়ে করে।
> পেটের নানারকম পীড়া কমিয়ে দেয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি ও হজম করাতে সহায়তা করে।
> রক্তের ক্ষতিকারক কোলেষ্টরল কমিয়ে দেয় যা হৃদরোগের অন্যতম কারন থেকে রেহাই করে।
> ঠান্ডা লাগা, গলাবসা ও কফ জমা প্রতিরোধ করে।
> মুত্র নালীর ইনফেকশনে যে সকল ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দায়ী তা ধ্বংসে অত্যন্ত ফলদায়ক।
No comments:
Post a Comment