Friday, August 8, 2014

কটন বাডও মৃত্যুর কারণ হতে পারে

কটনবাড ব্যবহার
করে মৃত্যুবরণ করা বিরল
ঘটনা। সম্প্রতি প্রকাশিত
একটি রিপোর্ট
থেকে জানা যায়,
ঘটনাটি ঘটে কানাডার মন্ট্রিলে।
ঘটনা তদ-
কারী কর্মকর্তা ডাঃ জেসক
রামসে কানাডার স্বাস্থ্য
বিভাগকে বলেছেন যে, কটন
বাডের প্যাকেটের ওপর
সতর্কবাণী লিখে দিতে। মন্ট্রিল নিবাসী ৪০ বছর
বয়স্ক মি. ডেনিয়েল সেন্ট
পিয়ে গত বছর মৃত্যুবরণ
করেছেন। তার মৃত্যুর কারণ
হলো বহিঃকর্ণের
ইনফেকশন, যা কানের পর্দা ছিদ্র
করে মেনিনজাইটিস করেছে।
মি. সেন্ট পিয়ে একজন
কানে মাত্রাতিরিক্ত
কটনবাড ব্যবহারকারী।
যে কারণে প্রতিদিন বারবার ব্যবহারের
ফলে তার
বহিঃকর্ণে ইনফেকশন হয়
এবং পরে তিনি আরো বেশি ক
ব্যবহার করাতে তার
বহিঃকর্ণের ইনফেকশন মধ্যকর্ণ
থেকে অন্তঃকর্ণে বিস্তৃতি লা
করে। অন্তঃকর্ণ
থেকে মস্তিস্ক
এবং মস্তিস্কের আবরণ মাত্র
কয়েক মিলিমিটার দূরে। যার ফলে ইনফেকশন অতি সহজেই
মস্তিস্ক এবং তার
আবরণে সংক্রমিত
হয়ে হতে পারে মেনিনজাইটি
বা স্পাইনাল কর্ডের চার
পাশের প্রদাহ, যা কানের ইনফেকশনের
জটিলতা হিসেবে দেখা দেয়। গত বছর মার্চে মি. সেন্ট
পিয়ে কান ব্যথা ও কান
থেকে রক্তপাতের জন্য
হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
তার কানের পর্দা এত
বেশি ফুলেছিল এবং তার কানে এত বেশি রক্ত জমেছিল,
যে ডাক্তার কানের
পর্দা ভালো করে দেখতে পা
চিকিৎসক
তাকে একটি কানের ড্রপ
দিয়ে ছেড়ে দেন। সে দিন রাতে বাড়িতে তার অবস্থার
আরো অবনতি হয়। তার
স্ত্রী তখন
জরুরী এ্যাম্বুলেন্স
ডেকে তাকে মন্ট্রিল
জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান
এবং ভর্তি করেন।
ডাক্তারদের শত চেষ্টার
পরও সেখানে তার মস্তিস্ক
এবং মস্তিস্কের আবরণের
প্রদাহজনিত কারণে জীবনাবসান ঘটে,
যা কিনা কটন বাড
ব্যবহারের জন্য হয়েছিল।
ডা. রামসে বলেছেন,
অতিরিক্ত কটনবাড ব্যবহার
করলে বহিঃকর্ণ ফুলে যায় এবং তা ব্যবহারকারীকে কান
বন্ধ থাকার
একটি অনুভূতি দেয়। ডাঃ জেকস কানাড়ার
স্বাস্থ্য বিভাগকে কডন
বাডের প্যাকেটের
গায়ে ‘রেড’ দিয়ে সতর্ক চিহৃ
দিতে প্রস্তাব করেছেন। কী কী কারণে কানের
পর্দা ছিড়ে যায়ঃ
► কোনো কিছু দিয়ে কান
খোঁচালে
► কোনো কিছু ঢুকলে,
তা অদক্ষ হাতে বের করার চেষ্টা করলে
► হঠাৎ বাতাসের
চাপজনিত কারণে যেমন-
কানে থাপ্পড় দিলে,
কোনো বিস্ফোরণ ঘটলে,
বক্সিং ► হঠাৎ পানির চাপ, যেমন-
পানির নিচে সাঁতার কাটলে,
ওয়াটারপোলো,
ডাইভিং ক্স মাথায় আঘাত
বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে। উপসর্গঃ
► কানে ব্যথা।
প্রথমে তীব্র ও পরে অল্প
ব্যথা।
► কানে কম শুনতে পাওয়া।
অল্প ছিঁড়ে গেলে অল্প কম শুনবে,
বেশি ছিঁড়ে গেলে বধিরতা ব
► কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ
হতে পারে।
মাথা ঘোরাতে পারে, যদিও
তা স্ঁল্পকালীন। ► কান
পরীক্ষা করলে দেখা যাবে,
কানের পর্দায় ছিদ্র
আছে এবং ছিদ্রের চার
পাশে এলোমেলো এবং লাল
হয়ে আছে। ► বহিঃকর্ণে রক্ত জমাট
থাকতে পারে। ►►► চিকিৎসাঃ
►কানে কোনো ইনফেকশন
না হওয়ার জন্য
অ্যান্টিবায়োটিক
খেতে হবে।
►ব্যথা থাকলে প্যারাসিটা খেতে হবে।

কানে কোনো পানি দেয়া য
► কান
খোঁচানো যাবে না।
► কানে কোনো ড্রপ দেয়া যাবে না।
► সাতাঁর কাটা যাবে না।
► দুই সপ্তাহ পর রক্ত
জমা থাকলে তা বের
করতে হবে নাক-কান-
গলা বিশেষজ্ঞ দিয়ে। ►রোগীকে আশ্ব-
করতে হবে।
► সাধারণত উপরিউক্ত
চিকিৎসায়
রোগী ভালো হয়ে যায়।
► যদি রোগী দেরিতে চিকিৎস
জন্য কান থেকে পুঁজ
পড়া বা ইনফেকশন নিয়ে আসে,
তখন তা কানের বহিঃকর্ণ ও
মধ্যকর্ণের প্রদাহ
হিসেবে চিকিৎসা করতে হবে ► যদি কানের পর্দার ছিদ্র
থেকে যায় তাহলে তিন মাস
পর কানের মাইক্রোসার্জার
ির মাধ্যমে কানের
পর্দা জোড়া লাগাতে হবে য
বাংলাদেশে নিয়মিত করা হয়।
► সাধারণত কানের
পর্দা ছিঁড়ে গেলে যে কোনে
ড্রপ নিযে অনেকেই
তা ব্যবহার করে,
যা একেবারেই উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে কানে কিছুই
ব্যবহার
করা যাবে না এবং নিকটস্থ
হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা
কান-গলা বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ নিতে হবে। ***************
***********
অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর
চৌধুরী
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান,
ইএনটি মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন
অ্যান্ড হসপিটাল
------------------------------------- LINK 

No comments:

Post a Comment