চোখ ওঠার সমস্যা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী গরমকালে এই সমস্যা অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, এই রোগের জীবাণুর উপর এই সময়ে ওষুধের খুব বেশি প্রভাব পড়ে না৷ চিকিসকেরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে প্রতিদিন এই সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন৷ তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় গরমের প্রভাবে জীবাণু অনেক বেশি শক্তিশালি হয়ে যায়।
ফলে ওষুধ দিয়েও অনেক সময় এদের প্রতিরোধ করা যায় না।
জানা গেছে, কিছুক্ষেত্রে এই সমস্যা একেবারেই সামান্য থাকে এবং তা নিজে থেকে ঠিকও হয়ে যায়৷ কিন্তু গুরুতর ক্ষেত্রে এটি ঠিক হতে অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লেগে যায়৷ এই জীবাণুর প্রভাবে চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়।
একজনের থেকে অন্য জনেও এই জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে৷ যদিও অনেক সময়, ধুলো, ধোঁয়ার ফলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই সমস্যায় রোগীর চোখ চুলকানি বা ঝাপসা দেখার মত সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দিনে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া হল এই রোগ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভাল উপায়৷ এছাড়া সবুজ সবজি ও টাটকা ফল খাওয়া ও পর্যাপ্তপরিমাণে ঘুম ও এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
চোখ ওঠা থেকে বাঁচার কিছু উপায়:
যার আগে থেকে এই রোগ রয়েছে তার চোখে হাত দেবেন না।
দিনে বেশ কয়েকবার ঠাণ্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে হবে৷ বিশেষ করে সারাাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে অবশ্যই এটি করবেন।
অন্য কারোর তোয়ালে, রুমাল, বালিশ, বিছানা ইত্যাদি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
দুচাকার গাড়িতে যাতায়াতের সময় অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করবেন৷
সাঁতার কাটার সময় চোখে চশমা পড়ে থাকবে।
এই রোগ ছোঁয়াচে তাই যারা এই রোগের শিকার হয়েছেন তাদের থেকে দুরে থাকুন। C/O, bdtoday.net
No comments:
Post a Comment